মৌলভীবাজারে শীতের সবজির বাজারে আগুন 

প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০৬:১৪:১৬ || পরিবর্তিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০৬:১৪:১৬

মৌলভীবাজারে শীতের সবজির বাজারে আগুন 

কাঁচাবাজারগুলোতে শীতের আগাম সবজি উঠলেও অতিরিক্ত দামে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা অবরোধের অজুহাত সামনে আনছেন।

পণ্য আনতে অতিরিক্ত খরচ লেগেছে এমন দাবি তুলে গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় প্রতিটি সবজিতেই চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দাম চাইছেন তারা। তাতে শীতের সবজির স্বাদ নেওয়া থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে অনেক ক্রেতাকে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সারাদিন মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিম কাঁচাবাজার এবং বাইরের খুচরা দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, করলা, বেগুন, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক-সবজিতে বাজার ভরপুর। তবে কোনো সবজির দামই গত সপ্তাহের জায়গায় নেই। এসব সবজির অধিকাংশটির দামই শুরু হচ্ছে ৭০, ৮০ ও ৯০ টাকায়। সর্বোচ্চ দাম হাঁকা হচ্ছে শিম, গাজর, টমেটো। আকার ও মানভেদে ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতি কেজি শিম।

তাছাড়া নতুন ফুলকপি কেজি ৮০টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০টাকা, বেগুন জাতভেদে ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। পিছিয়ে নেই শসা, গাজরের দামও। দেশি শসা ৫০-৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা ও বরবটি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, দেশি আদা ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৭০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৫০-১৬০ টাকা এবং শুকনা লাল মরিচ ৪৪০ টাকা কেজি, ডিম হালি ৬০‌ টাকা, পিয়াজ কেজি ৮০, গাজর‌ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাকের বাজারও দামে পিছিয়ে নেই। লাউশাক, পালং শাক, লালশাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাকের বাজারই চড়া। প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, পুঁই শাক ৪৫-৫০ টাকা এবং পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক ও কচু শাক ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পশ্চিমবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী হাকিম মিয়া বলেন, টমেটোর নতুন বাজারে আসছে দাম তো একটু বেশিই পড়বে। আমরা চাই ক্রেতাদের কম দামে সবজি দিতে কিন্তু আমরা দিতে পারছিনা। কারণ আমাদেরও বেশি দামে সবজি ক্রয় করতে হচ্ছে। 

অন্যদিকে ক্রেতা জয়নুল আবেদীন বলছেন, আগে বাজারে আসলে ৪-৫ ধরনের সবজি বাসায় নেয়া যেত। আর এখন দাম বাড়ার কারণে চাহিদা মতো সবজি নিতে পারি না। এতদিন তরকারি  আলু ব্যবহার করলেও এখন দাম বাড়ার কারণে সেটি কেনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। একটা সবজিও কম দামে নেই। মানুষজন কি খাবে। শীতের পুরো মৌসুম শুরু না হলে এরকম অবস্থার পরিবর্তন হবে না।

স্বস্তির খবর নেই মুদিপণ্যেও। বুটের ডাল ১০০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৯০ টাকা, মসুর ডাল ভারতীয় ১২০ টাকা, দেশি ডাল ১৪০ টাকা, ছোলা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও খোলা চিনিগুড়া চাল ১৪৫ টাকা, মিনিকেট চাল মানভেদে ৮০,৭০, ৬০, টাকা, বই নাজিরশাইল চাল ৭৫-৮০ টাকা, চিনি ১৫০ টাকা, গুঁড়াদুধ ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

একইসঙ্গে সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম পড়ছে ১৭০ টাকা। রুপচাঁদা ব্র্যান্ডের ৫ কেজির সয়াবিন তেলের বোতলের দাম হয়েছে ৮০০ টাকা এবং পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজি দরে।


প্রজন্মনিউজ২৪/ইমরান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ